আদমদীঘিতে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে চুল কেটে দেওয়ায় ‘শ্বশুর-ননদ-দেবর ও যা’সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই গৃহবধূ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে ও আব্দুস সালামের স্ত্রী। শনিবার রাতে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুস সালাম তার স্ত্রীকে নিয়ে বেশ কিছুদিন পূর্বে সান্তাহার পৌর শহরের গুলশান মসজিদের পার্শ্বে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। গত মঙ্গলবার (১৯জুলাই) তার স্ত্রী ভাইয়ের বিয়ের মেয়ে দেখার জন্য বাহাদুরপুর গ্রামে যায়। ওই গ্রামে তার যা’য়ের মায়ের বাড়ি হওয়ায় তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি খোজাখুজি করতে থাকেন। বিষয়টি জানার পর পূর্বশত্রুতার জেরে সেখানে এসে তার যা রুপালি ও তার মা আফরোজা উত্তেজিত হয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের অপমান মূলক কথা বলেন। একপর্যায়ে তাকে ছেলে ধরা অপবাদ দিয়ে টানাহেছড়া করে তার ফুফু বুলির বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে সেখানে দুপুর ১২ টা থেকে ৬ পর্যন্ত আটক রাখে। এরপর তাকে মারপিট করে চোখে মুখে মরিচের গুড়া লাগিয়ে দেয়। এতেও তারা ক্ষ্যান্ত না হয়ে তার মাথার চুল কেটে দেয় এবং শীলতাহানি ঘটায়। শুধু তাই নয়, তার গলায় থাকা প্রায় ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ‘১০ আনা স্বর্নের চেইন ও কানে থাকা ৪ আনা স্বর্ণের দুইটি দুল’ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া জোরপূর্বক দুইটি ১৫০ টাকা মূল্যের সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। এরপর শনিবার রাতে বাদী হয়ে অভিযুকদের নামে ওই গৃহবধূ মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত রমজান কাজীর ছেলে আব্দুস সামাদ (৫৫), তার ছেলে ইব্রাহিম সাগর (৩২), তার স্ত্রী রুপালী খাতুন (২৬), কুসুম্বী গ্রামের বুলু (৪৫), তার স্ত্রী শামছুন্নাহার (৪০), আনিকুল (৫০) , তার ছেলে এমদাদুল (৩৫), স্ত্রী আফরোজা খাতুন (৪৫), মেয়ে আমেনা খাতুন (৩০) ও বুলি খাতুন (৪৫)।
আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিম রেজা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য জোড় তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
Add Comment