একটা গল্প বলি শুনুন, বেশকিছু তরুণ ফুঁসছে। এই ফুঁসে ওঠা একদিনে নয়। দিন দিন, প্রতিদিন একটু একটু করে ফুঁসে ওঠা। পোস্টার, দেওয়াল লিখন, ফেস্টুন আর স্লোগানে মুখরিত রাজপথ। কারণ যে বিষয়টিকে ঘিরে লংঙ্কাকাণ্ড সেটি খুব ঠুনকো কিছু নয়। আত্মা আর আত্মীক কিছু বিষয়কে ঘিরে। যে ভাষাতে তারা কথা বলে, যে ভাষাতে আবেগগুলো বেধে রাখে, যে ভাষায় প্রথম শব্দ শেখা, যে ভাষা আপন মনে দোলা দেয়, আকাশে বাতাসে যে ভাষা উড়ে বেড়ায়। যে ভাষার সুরেলা গান কানে ভাসে, যে ভাষা তাদের মাতৃভাষা; সেটিকে কিছু কালো ছায়া অপশক্তি হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তখনো তারা পারেনি। পৃথিবীতে সেই শক্তি যুগে যুগে পরাস্ত যে শক্তি মিথ্যা, যে শক্তিতে নেই কোনো আবেগ, মনোবল। নেই সামান্যটুকুও প্রেরণা। সেই শক্তি কখনো পারে না আর তখনও পারেনি। বুকের তাজা রক্ত আর সবুজ বেশ কিছু প্রাণ এই ভাষার জন্য ঝরে গেছে। জীবন দিয়ে রক্ষা করে গেছে মায়ের মুখে ভাষা সেই দিন বেশ কিছু তরুণ-যুবক আর মা মাটি মাতৃভূমিকে ভালবাসে এমন কিছু প্রাণ। গল্পটি এখানেই শেষ কিন্তু গল্পের পরের অংশ…
হায়!.. হায়!!… এমনটা কেন? আমাদের পরিবারের লোক নয় বলে এমন লাঞ্ছনা, এমন অপরিচর্যা। নিজের কেউ হলে, পরিবারের কেউ হলে ছবিগুলো দেওয়ালে ফ্রেমে সযত্নে বাধা থাকতো… ময়লা পরার আগেই ঝেরে মুছে হয়ে যেতো পরিস্কার। পরিবার, পরিজন নয় বলেই কি এই অসম্মাননা। নাই বা হয়েছে তারা পরিবার পরিজন কিন্তু শহীদের স্মরণে তৈরি শহীদ মিনারে কেন এই ময়লা, কেন এই অপরিচ্ছন্নতা। একদিকে দিয়ে চলে গেছে ময়লা-পানির ড্রেন। সেখানেও নেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। যদি নাই থাকে এর (শহীদ মিনার) প্রয়োজনীয়তা তবে কেন? কেন? কেন এটিকে ফেলে রাখা? আর যদি তার (শহীদ মিনার) থাকেই কোনো প্রয়োজন তবে কেন এই লাঞ্ছনা, এমন অপরিচর্যা? কে দিবে এর উত্তর? প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, নাকি সেই ৫২ তে যেভাবে জেগে উঠেছিল তারুণ্য, ফুঁসে উঠেছিল যুব সমাজ তারা? জবাব দিতেই হবে? তারুণ্য চায় সেই জবাব।
@ ছবিটি গত বিশ ফেব্রুয়ারি সকালে তোলা…
সান্তাহার ডটকম/নাজমুল হক ইমন/১৫-০৪-২০১৬ইং
Add Comment