বগুড়ার সান্তাহারে ট্রেনে কাটা পড়ে পৃথক স্থানে নিহত দুই নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় ইউডি মামলা দায়ের এবং লাশ দুটি ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতরা হলো- টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরের ভরুয়া গ্রামের আয়েজ উদ্দীনের ছেলে আবদুর রহমান (৬৭) এবং নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর গোবিন্দপুর গ্রামের ইব্রাহীম আলীর মেয়ে সাহারা বেগম (২২)।
রেল পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সান্তাহার জংশন এলাকার পোঁওতা রেলগেটের দক্ষিন দিকে রেললাইনের ওপর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন টাঙ্গাইলের আবদুর রহমান নামের ওই ব্যক্তি। এসময় রাজশাহীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস আন্ত:নগর ট্রেনটি ওই স্থান অতিক্রম করছিল কিন্তু তারপরও ওই ব্যক্তি লাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ট্রেন চালক বার বার হর্ণ দিলেও তিনি সড়ে না যাওয়ায় ট্রেনের নিচে কাটা পরে মারা যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, তিনি বেশ কিছু দিন যাবৎ মানসিক রোগে ভুগছিলেন। কাউকে না জানিয়ে গত ১০-১২ দিন পূর্বে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসেন। অনেক খুঁজাখুজির একপর্যায়ে থানায় সাধারন ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুরগামী ‘রংপুর এক্সপ্রেস’ আন্ত:নগর ট্রেনটি সান্তাহার রেলওয়ে থানাধীন নাটোর স্টেশনের হুগোলবাড়িয়া সার গোডাউন এলাকায় পৌঁছলে নওগাঁর সাহারা বেগম (২২) নামের ওই নারী ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ওই নারী মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন আর রেললাইন ধরে হাটছিলেন। এমন অসতর্কতার ফলে ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি মারা যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আযম জানান, নিহত দুজন ব্যক্তিই রেললাইনের ওপর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। তাদের অসচেতনার কারনে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নিহতদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
Add Comment