আপডেট দৈনিক সান্তাহার সান্তাহার জংশন

সান্তাহারে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, দুর্ভোগ কাটলো যাত্রীদের

সান্তাহারে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগীর চাকার এক্সেল গার্ড ভেঙে যায় এবং তিলকপুর স্টেশনে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। দুই ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রায় নয় ঘণ্টা যাবৎ দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রী সাধারনকে। শনিবার বেলা ১২টায় একতা এক্সপ্রেস সচল হলে সান্তাহার জংশনের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জানাগেছে, পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস (৬০৭) ট্রেনটি শনিবার ভোর ৪টা ৫৮মিনিটে তিলকপুর রেলস্টেশনে একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঈশ্বরদী থেকে একটি রিলিফ ট্রেন এসে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া বগি উদ্ধার করে। ফলে এ রুটে ৭ ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এই দুর্ঘটনার পর থেকে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সান্তাহার জংশন স্টেশনে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস, ভোর ৫টা থেকে সান্তাহার জংশন স্টেশনে পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ভোর পৌনে ৫টা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস আন্ত:নগর ট্রেন আক্কেলপুর স্টেশনে আটকা পড়ে। এছাড়া শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনের একটি বগীর চাকার এক্সেল গার্ড ভেঙে যায়। ফলে ট্রেনটি দুই ঘন্টা ধরে সান্তাহার জংশন স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে সান্তাহার জংশন স্টেশনের টিএক্সআর বিভাগের লোকজন প্রায় দুই ঘন্টা যাবৎ মেরামত কাজ করার পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সান্তাহার থেকে ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যায়। পৃথক স্টেশনে দুই ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রায় ৯ ঘণ্টা যাবৎ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারন যাত্রীদের।


আব্দুল হামিদ নামের এক যাত্রী জানান, তিনি ঢাকায় বেসরকারি একটি চাকরি করেন। শনিবার দুপুরে তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বেকায়দায় পড়েছেন। তিনি প্রায় ৫ ঘন্টা অপেক্ষা করে কাঙ্কিত ট্রেন পেয়েছেন।
শফিকুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘এমনিতেই ট্রেনে যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকার মতো অবস্থা নেই। তার পরও কষ্ট করে ছাঁদে উঠেছিলাম। রোদ ও গরমে ট্রেনের ছাঁদে অপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।’
সান্তাহার স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম জানান, এক্সেল গার্ড ভেঙে যাওয়ার পর মেরামত শেষে দুই ঘণ্টা পর সান্তাহার জংশনের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আক্কেলপুর স্টেশন মাস্টার খাদিজা আকতার জানান, শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রেলস্টেশনে আটকে থাকা ট্রেনগুলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে।