সান্তাহার ডেস্ক:: খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির ভিজিডি চাল বিতরণে কার্ডধারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৩০ কেজি চাল বিতরণের বিপরীতে প্রত্যেক কার্ডধারী ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন মিলিয়ে দুস্থ মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৯৭৪ জন কার্ডধারীকে বিনা মূল্যে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ভিজিডি চাল দেয় সরকার। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের তদারকিতে নিজ নিজ ইউপির তত্ত্বাবধানে তালিকা তৈরি ও চাল বিতরণ করা হয়। সান্তাহার ইউনিয়নে ৩১৫ জন কার্ডধারী এ সুবিধা পান। তাঁরা গত জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ২৪ মাস এই ভিজিডি চাল পাবেন। সরকারি বিধানমতে, দুস্থ কার্ডধারীদের পরিবারের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেওয়া বা ওজনে কম দেওয়া যাবে না। তবে সান্তাহার ইউপির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি বিধি উপেক্ষা করে চাল বহন করার অজুহাতে কার্ডধারী দুস্থ ব্যক্তিদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ টাকা করে নিচ্ছে। এতে সুবিধাভোগীরা ক্ষুব্ধ।
সান্তাহার ইউপির চেয়ারম্যান এরশাদুল হক বলেন, পরিবহন খরচ বেশি লাগার কারণে ২০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, সরকার পরিবহন খরচ বাবদ ১ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে টনপ্রতি ২৩০ টাকা ও ১১ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে টনপ্রতি ২৮০ টাকা করে দেয়। ফলে ভিজিডি কার্ডধারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/২২ জুন ২০১৭ইং
Add Comment