দেশের প্রাচীনতম রেলওয়ে জংশনগুলোর একটি সান্তাহার। শতবর্ষ পুরানো এ রেল স্টেশনটিতে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। বর্ষায় বৃষ্টির পানি আর গ্রীষ্মে প্রখর রোদ ও ভ্যাপসা গরমে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। খাবার পানির সঙ্কটের পাশাপাশি যাত্রীদের ওয়েটিং রুমও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ।
আবার অনেকের অভিযোগ, মাদকসেবী ও পকেটমারদের দৌরাত্ম নিয়ে। অবশ্য সমস্যার কথা স্বীকার করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের অভাবকে দায়ী করলেন স্টেশন মাস্টার।
উন্নত যাতায়াতের কথা চিন্তা করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ১৯শ’ সালে বগুড়ার সান্তাহারে রেলওয়ে জংশন নির্মাণ করে। প্রতিদিনই এ জংশন দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে ৩০টি ট্রেনে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী। এছাড়া ৬টি ট্রেনে পরিবহন হয় পণ্য সামগ্রী। বিপুল পরিমাণ যাত্রী এ জংশন ব্যবহার করলেও এখানে নেই যাত্রীদের ন্যূনতম সেবা।
যাত্রীরা রেলওয়ে স্টেশনে মাদকসেবী পকেটমার ও চোরাকারবারিদের দৌরাত্মের কথা বললেও রেলওয়ে নিরাপত্তা পুলিশ বলছে এ ব্যাপারে তারা তৎপর রয়েছেন।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. আসাদুল হক বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। আমাদের রেলওয়ে এলাকায় কোন মাদক ব্যবসা, পকেটমার, চোরাচালান এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। তারপরও দু’একটি ঘটনা ঘটলে আমরা তাৎক্ষনিক সেই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’
জংশনের নানা সমস্যার কথা স্বীকার করে স্টেশন মাষ্টার মো. রেজাউল করিম ডালিম জানালেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর পরও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে কর্মরত ৮টি বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র ট্রাফিক ও পরিবহন বিভাগে ১শ’ ১৭টি পদের বিপরীতে এখানে রয়েছে ৪৬ জন। গত ২০১৫ সালে এ রেল জংশন থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/২২-মে-২০১৬ইং
Add Comment