জংশন স্টেশন শহরের ইঞ্জিনের সাইরেনের বিকট আওয়াজ আর ট্রেন চলাচলের সার্বক্ষনিক ঝক ঝক শব্দকে উপেক্ষা করে শত শত পাখি নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে বাসা বেঁধেছে সান্তাহার শহরের নতুন বাজার এলাকার কয়েকটি গাছে। সাদা বক, কানি বক, পানকৌড়ি, বালিহাঁস সহ বেশ কিছু নিশাচর পাখি নিরাপদ বসবাসের কারণে শহরের জনবহুল এলাকাটি হয়ে উঠেছে পাখিদের অভয়ারণ্য। স্টেশন পার্শ্ববর্তী ঝিল সংলগ্ন ওই মহল্লার একটি বড় বট গাছ সহ আশপাশের আরো ৮/১০টি গাছে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন জাতের অসংখ্য পাখি। পখিগুলোর মধ্যে সাদা বক ও পানকৌড়ির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পূর্ব মুহুর্ত থেকে সান্তাহার শহর পার্শ্ববর্তী রক্তদহ বিল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে এসে আশ্রয় নেয় গাছগুলোতে। সন্ধ্যার পর সবগুলো গাছের ডাল ভরে যায় পাখিদের আগমনে। পাখিদের কিচির মিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে এলাকা। ভোরের আলো ফুটে উঠার সাথে সাথে তারা খাবারের সন্ধানে ঝাঁক ধরে ছুটে যায় রক্তদহ বিল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়।
সান্তাহার নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, হঠাৎ করেই শত শত পাখি এই এলাকার কয়েকটি গাছে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এলাকার মানুষ পাখিদের এই আগমন এবং তাদের অবস্থান নিয়ে হতবাক হলেও পাখিদের বসবাস নিয়ে সকলেই খুশি। কারণ বিচিত্র জাতের এ সমস্ত পাখিদের দেখতে প্রতিদিন এলাকায় ভীড় করে অসংখ্য পাখি প্রেমিক দর্শক। বড় যে বট গাছটিতে সবচেয়ে বেশি পাখি আশ্রয় নিয়েছে ওই গাছের মালিক নির্মল কৃষ্ণ। সে জানায়, হঠাৎ করেই তার এই গাছটিতে পখিরা এসে আশ্রয় নেয়। পাখিদের উচ্ছিষ্ট খাবার এবং তাদের ত্যাগ করা পায়খানায় বাড়ি ঘর নোংরা হলেও বাড়ির সকলে পাখিদের আগমন নিয়ে বিরক্ত না হয়ে আনন্দিত। কারণ ইচ্ছে করেই পাখিগুলো নিরাপদ আশ্রয় জেনে এখানে এসে বাসা বেঁধেছে। তাই তাদের তাড়িয়ে দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করি না। বরং এই এলাকার সকল মানুষ বর্তমানে পাখিগুলোর পাহারাদার। মানুষজনের সার্বক্ষনিক সতর্কতার কারণে ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও কোন শিকারী এই এলাকায় প্রবেশ করতে সাহস পায় না।
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/০১-জুন-২০১৬ইং
Add Comment