সান্তাহার রেলওয়ে থানাধীন হলহলিয়া রেলসেতু অতিক্রম করার সময় পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ কিশোর মেহেদী হাসানের (১৫) মরদেহ পাওয়া গেছে। মেহেদী পঞ্চগড়ের বাতুভিটা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সোমবার সকালে রেলসেতুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ডুবুরি দল। এর আগে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চলন্ত ট্রেন থেকে হলহলিয়া রেলসেতুতে ধাক্কা লেগে তুলসীগঙ্গা নদীতে পড়ে ওই কিশোর নিখোঁজ হয়েছিল। সে তার দাদি ও বোনের সঙ্গে ট্রেনে করে পঞ্চগড়ে যাচ্ছিল। এদিকে সান্তাহার স্টেশনের প্লাটফরম থেকে অজ্ঞাত (৭০) বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৃথক দুটি ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
জানাযায়, নিখোঁজ কিশোরকে উদ্ধারের জন্য রাতে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধান শুরু করেছিল। সন্ধান না পাওয়ায় রবিবার রাত ১০টার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়। সোমবার সকালে রাজশাহী থেকে একটি ডুবুরি দল এসে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে নদীর তলদেশ থেকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া রবিবার রাত ৯টায় সান্তাহার জংশনের ৩ নম্বর প্লাটফরমে স্টেশন মাস্টারের অফিসের বারান্দা থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আযম বলেন, ট্রেনে ওই কিশোরের সঙ্গে তার দাদি ও বোন ছিল। তার মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার জন্য আবেদনের ভিত্তিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া সান্তাহার স্টেশনের প্লাটফরম থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত বৃদ্ধ ভিক্ষুক ছিলো। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রেলভ্রমণে আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। চলন্ত ট্রেন থেকে মাথা বের করা, সেলফি তোলা, দরজায় বসে থাকা, হাত বের করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
Add Comment