সান্তাহার জংশন স্টেশনে প্রতিদিনই একাধিক যাত্রীর মুঠোফোন, ব্যাগ ও নগদ টাকা খোয়া যাচ্ছে। চোর, পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্যে অসহায় হয়ে পড়েছেন ট্রেনের যাত্রীরা। ঢাকাগামী সব আন্তনগর ট্রেন ওই সন্ত্রাসীদের প্রধান টার্গেট বলে জানা গেছে।
ট্রেনের যাত্রী এবং ওই স্টেশনসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত ট্রেনের ভেতরে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তবে সান্তাহার স্টেশনের প্লাটফর্মেও প্রায় প্রতিদিনই চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় রেলওয়ে থানায় (জিআরপি) অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং দিনের পর দিন এসব ঘটনা বেড়েই চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের সান্তাহার স্টেশনের একাধিক কর্মচারী ও শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, চোর এবং ছিনতাইকারীদের সঙ্গে রেল পুলিশের অলিখিত গোপন চুক্তি রয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের না ধরে পুলিশ মাঝেমধ্যে স্টেশনের সাধারণ অসহায় যাত্রীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দিয়ে থাকে।
স্টেশন গিয়ে জানা গেছে, ওই দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচজন যাত্রীর মুঠোফোনসেট খোয়া গেছে। এ ছাড়া রংপুরগামী ‘রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন’ থেকে দুই নারীর ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে এক আত্মীয়কে ট্রেনে তুলে দেয়ার সময় এই প্রতিনিধির মুঠোফোনসেট নিয়ে যায় চোরের দল। একই দিন নীলফামারীগামী ‘নীলসাগর আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন’ থেকে চুরি করার সময় যাত্রীরা এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেন এবং তার কাছে থেকে আটটি মুঠোফোনসেট উদ্ধার করেন। পরে তাকে সান্তাহার জিআরপি থানায় সোপর্দ করা হয়।
জানা যায়, সৈয়দপুর এলাকার মহুয়াগাছতলা এলাকার সোহেল রানা, ছটুয়া, সাগর, ফরিদুল, সুজন, সাথীসহ ১৫-২০ জন মুঠোফোন চোর রয়েছে। তারা বিভিন্ন স্টেশনের প্লাটফর্ম ও ট্রেনে যাত্রীদের মুঠোফোনসেট এবং ব্যাগ চুরি করে। এসব কাজে বিভিন্ন থানার পুলিশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেআটক হওয়া ব্যক্তি।
সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসব অপরাধীর সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ থাকার কথা অস্বীকার করেন। তবে ট্রেনে ও প্লাটফর্মে প্রায়ই যাত্রীদের মুঠোফোনসেট-ব্যাগ চুরি হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এসব অপরাধ বন্ধে অপরাধীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/২৭-০৪-২০১৬ইং
Add Comment