সান্তাহার ডেস্ক:: সান্তাহারের জামেদুল ইসলাম। চার বছর আগে ১১ লাখ টাকা খরচ করে ভালো কাজ আর সচ্ছলতার আশায় পাড়ি জমান স্বপ্নের সৌদি আরবে। কিন্তু ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না। এক বছর ধরে একটি কোম্পানিতে কাজ করে বেতন পেলেন মাত্র তিন মাসের।
তারপর সিদ্ধান্ত নিলেন কোম্পানি থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্য কোথাও কাজ করবেন অথবা ব্যাবসা করবেন।কিন্তু আরেক সমস্যা তার সামনে এসে দাড়ালো, তা হলো ব্যবসা করার পুঁজি। ব্যবসা করতে লাগে পুঁজি,তার কাছে তো কিছুই নেই!
সৌদি প্রবাসী নিজ এলাকার বন্ধুদের সহযোগিতায় মাত্র ১শ রিয়াল বিনিয়োগ করে রিয়াদের বাথা মার্কেটে ছোট্ট একটা পানের দোকান দেন জামেদুল। এখনো পর্যন্ত ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন । পুলিশ চেক করতে আসলে দোকান থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ চলে গেলে আবার বেচা কেনা শুরু করেন। এভাবেই নিজেকে বাঁচিয়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে টিকে আছেন জামেদুল।
জামেদুল ইসলাম জানান, তিন বছর ধরে সৌদিতে সে অবৈধ, তার কাছে নেই পাসপোট নেই ইকামা। তারপরও ১৫০ রিয়াল অর্থাৎ তিন হাজার টাকা আয় হয় প্রতিদিন।
তিনি জানান, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে ভীড় বেশি হয়, তাই বিক্রিও বেশি হয় অন্য দিনের তুলনায়। এভাবে তার মাসিক আয় ৯০ হাজার থেকে ৯৫ হাজার টাকা। সম্প্রতি অবৈধ শ্রমিকদের জেল-জরিমানা বা কোন শাস্তি ছাড়া দেশে ফেরার আউট পাশ দেয়া হচ্ছে।
জামেদুল বলেন, তিনি আউট পাশ চান না। এভাবে আরো কিছুদিন ব্যবসা করে পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে দেশে ফিরতে চান । মাত্র ১শ রিয়াল পুঁজি দিয়ে শুরু করা এই পানের ব্যবসা এখন অনেক লাভজনক। আর এই লাভজনক ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে দেশে ফিরতে চান না এখনই। পরিবার আর নিজের ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালো কিছু করতে চান জামেদুল ইসলাম, তাই এত পরিশ্রম করে সারাদিন রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
>> সান্তাহার ডটকম/ইএন/১৭ এপ্রিল ২০১৭ইং
Add Comment