আর মাত্র ২০ দিন; তারপরও সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে এবার কার মুখে হাসি ফুটবে, কে করবে মুখ কালো, কোন দলের গুরুত্ব থাকবে বেশি এমন প্রশ্ন এখন সব মানুষের মুখে মুখে।
আসন্ন সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২ জন। আওয়ামীলীগ থেকে এরশাদ হক টুলু আর বিএনপি থেকে মোজাহার হোসেন পিন্টু। আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবারের নির্বাচনে নতুন মুখ; অন্যদিকে বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান পদপ্রাথী মোজাহার হোসেন পিন্টুর অভিজ্ঞতা আছে এই চেয়ারে বসার।কিন্তু দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কারণে কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায় না। এমন অবস্থায় হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, সান্তাহার ইউনিয়নের ভোটাররা গতবারের মতো এবারোও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই ভোট দেবে। আমি আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাসী তাই আমি ও আমার দল চাই সৎ, সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন নির্বাচনই হবে আমাদের ইউনিয়নে। আর আল্লাহ চাইলে আমিই জিতবো। আমার দলই জিতবে।
অপরদিকে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোজাহার হোসেন পিন্টু বলেন, সান্তাহারের জনগন সব সময়ই চেয়েছেন বিএনপির কেউ নেতৃত্ব দিবে। সেই ধারায় সান্তাহার পৌরসভাতেও এসেছে সাফল্য। সান্তাহার ইউনিয়নও বাদ যাবে না। আগের যা ভুুলক্রটি ছিল সেগুলো শোধরানো হয়েছে। তাই যদি পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও কোনো ঝামেলা না হয় তবে সুষ্ঠু ভোটের রায় আমাদের পক্ষেই আসবে।
সান্তাহারের এক প্রবীন ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, সান্তাহারে দেশের অন্য কেন্দ্রেগুলোর মতো ঝামেলা নেই। তবে ঝামেলা হতে কতক্ষণ। সাধারণ মানুষ এই ঝামেলাগুলোকেই ভয় পায়। এই ভয়ে গত নির্বাচনেও অনেকে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এর প্রতিকার দুই দলকেই করতে হবে। আমাদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবার মতো সাহস দিতে হবে। তবেই না সুষ্ঠু নির্বাচন হবে আমাদের সান্তাহারে।
তবে বেশ কয়েকজন সান্তাহার ডটকমকে জানান, সান্তাহার ইউনিয়নে গত কয়েকবার, নির্বাচনের আগের এক/দুইদিন বেশ কিছু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোট কেনার মতো ঘটনাও ঘটেছে। শুধু চেয়ারম্যান প্রার্থীরাই নয়, মেম্বার প্রার্থীরা টাকা দিয়ে ভোট কিনে আর ভোট কেনা কিংবা ভোট ছিনতাই হলে তো ভোটের হিসাব মেলানো কষ্টকর। তাই অপেক্ষা করতে জনগনের রায় আর ২৮ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত।
সান্তাহার ডটকম/সান্তাহার ডটকম টিম/০৮-মে-২০১৬ইং
Add Comment