কদর বেড়েছে বগুড়ার সান্তাহারের গ্রীষ্মকালীন সবজি ডাটা সজনের। অন্যান্য সবজির চেয়ে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এসব সজনে ডাটা স্থানিয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশজুড়ে। এতে লাভবান হচ্ছে সজনে চাষী ও স্থানিয় ব্যবসায়ী উভয়েই।
জানাগেছে, গাছে গাছে সজনে ফুল আসার শুরুর দিক থেকে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সজনে ডাটার বাম্পার ফলন হয়েছে। একারনে অনেক চাষীরা ডটা হওয়ার আগেই তাদের গাছের ফুল বিক্রি করেছেন। যেসব ব্যবসায়ীরা ফুলগুলো কিনেছেন তারা এখন গাছ থেকে পরিপূর্ণ সজনে ডাটা নামিয়ে বাজারজাত করছেন।
সান্তাহার পৌর এলাকার পাইকারী সজনে ব্যবসায়ী সবুজ হোসেন বলেন, সান্তাহারসহ আশপাশের এলাকাঘুরে সজনে চাষীদের কাছ থেকে প্রতিমন ২হাজার ৬০০ টাকা অর্থাৎ কেজি প্রতি ৬৫টাকা দরে সজনে কিনতে হচ্ছে। আর এসব সজনে কুষ্টিয়া, নাটোর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। দেশজুড়ে সান্তাহারের সজনের চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া এখান থেকে সাড়াদেশে ট্রেন, বাস, ট্রাক ও পিকআপযোগে সজনে পাঠানো যায়। ফলে যানবাহনের ক্ষেত্রে সুবিধা রয়েছে।
এদিকে চিকিৎসকদের মতে- ক্যালোরিয়াম, খনিজ লবণ ও আয়রনসহ প্রোটিনযুক্ত খাদ্য সজনে ডাটাতে পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন এ,বি ও সি সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারি। গর্ভবর্তী প্রসূতি মেয়েদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারি ও ফলদায়ক বলে ঔষধি সবজি হিসেবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও এই গাছের ছাল ও পাতা রক্ত আমাশয় প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে বলে চিকিৎসকেরা জানায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, সজনে গাছ তৈরি করতে চারা রোপন করতে হয় না। যে কোনো পতিত জমির পুকুরপাড়, রাস্তা, বাড়ির আঙিনায় বা যেকোনো ফাঁকা জায়গায় গাছের ডাল পুঁতে রাখলেই অবহেলা অযত্নের মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে ধীরে ধীরে এর ডাল-পালা বেড়ে গাছ বড় হতে থাকে। এমনকি ডাল পুঁতে রাখার পর একবছরের মধ্যেই ওই সব গাছে সজনে ডাটা ধরতে শুরু করে। বড় মাঝারি এক একটি গাছে ৫-১০ মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া যায়। বিনা পরিশ্রমে, বিনা খরচে অধিক লাভের আশায় অনেকেই সজনে চাষের জন্য আগ্রহী হয়ে উঠছে।
Add Comment